October 14, 2024, 5:21 am

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক কুড়িগ্রাম পৌরসভার সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৪০টি মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা চার দিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক

প্রখ্যাত কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক এবং অভিনেতা আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার সময় এ তথ্য জানিয়েছেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তিনি বলেন, একটু আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের হলাম। বাবার উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে বাবার অসুস্থতার সংবাদ জানার পর মূলত তিনি আমাদের ডেকেছিলেন। বাবার চিকিৎসার সকল দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ওঁর নির্দেশনামতে, বাবাকে প্রয়োজন হলে এখন দেশের বাইরে নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে দোদুলের সঙ্গে ছোট ছেলে অভিনেতা-নির্মাতা সোহেল আরমান এবং পরিচালক এস এ হক অলীক উপস্থিত ছিলেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে বাসায় আমজাদ হোসেনের স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে দ্রুত রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসক শহীদুল্লাহ সবুজের তত্ত্বাবধানে আছেন। গতকাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার পর চিকিৎসকরা জানান, তার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়েছে। আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ হোসেন। ৭৬ বছর বয়সী এই গুণীজন সব্যসাচী এক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে সফলতা পেয়েছেন তিনি। আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪) ছবিগুলো দিয়ে প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর